কেমিক্যাল মুক্ত আম চিনবেন যেভাবে
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে আমের রাজ্য বললেও ভুল বলা হবে না। প্রতি বছর সেখানে শত শত মণ আম উৎপাদন হয়। কিন্তু অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে সুস্বাদু সেই আম মানুষ আজ খেতেও ভয় পায়। কারন আম উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে আসা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে আমে প্রয়োগ করা হয় ক্ষতিকর কেমিক্যাল । তাই এখন আমরা জানার চেষ্টা করবো কিভাবে আমরা কেমিক্যাল মুক্ত আম চিনবো সেই উপায় নিয়ে।
» কেমিক্যাল মুক্ত আম চেনার উপায় একটি উপায় হচ্ছে গন্ধ শুকে দেখা। আম কেনার আগে নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুকুন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে চেনা গন্ধ পাবেন। ঔষুধ দেওয়া আমে গন্ধ খুব বেশি থাকে না কিংবা বাজে বা ঝাঁজালো গন্ধ থাকে। ফলে বোঝা যায় যে আমটা আসলে গাছপাকা না।
» গাছপাকা আমের গায়ের রঙও আলাদা। গোড়ার দিকে একটু গাঢ় রঙ থাকে গাছপাকা আমে। রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো আমের আগাগোড়া হলদে রঙ হয়ে যায়। হিমসাগর সহ আরও বেশ কিছু জাতের আম পাকলেও সবুজ থাকে। গাছপাকা হলে এসব আমের ত্বকে কালো কালো দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর।
» আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছপাকা আম হলে কিছুক্ষণ পর গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই সুমিষ্ট গন্ধ পাওয়াই যাবে না।
» আম কেনার পর সেই আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন যে আমে কোন সৌরভ নেই কিংবা আমে টক-মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই- বুঝবেন যে সে আমে কার্বাইড জাতীয় কোন রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়া হয়েছে।
» কার্বাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আম গুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
» আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।
» আম কিনতে গেলে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল করবেন আমের ওপর মাছি বসে কিনা। আমে রাসায়নিক বা কার্বাইড দেওয়া থাকলে সে আমের উপরে কখনই মাছি বসবে না।
» আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ক্যামিক্যাল বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।
এগ্রোবাংলা ডটকম
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ‘ এ।