মুরগির ঠোঁট কাটার মেশিন ডিবেকার
মুরগির ঠোঁট যখন বড় হয় তখন এক মুরগি আরেক মুরগির ঠোঁট থেকে ভয় পায় এবং ভাবে যদি সে আগে নিজেকে রক্ষা করতে না পারে তাহলে সে আক্রমনের শিকার হবে তাই সে আগে ঠোকর দেয়ার চেষ্টা করে । এ সমস্ত ঠোকরা ঠুকরির সময় আহত মুরগির দেহ হতে রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়া মুরগির ঠোঁট বেশি লম্বা এবং সুঁচালো হলে এরা সহজে খেতে পারেনা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়। তাই মুরগির ক্ষেত্রে ঠোঁট কেটে ছোট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত লেয়ার (ডিম পাড়া) মুরগির ক্ষেত্রে। মুরগির ঠোঁট বেশি বড় থাকলে সে যেমন খাদ্যের অপচয় করে ঠিক তেমনি তার বড় ঠোঁটের বড়ত্ব দেখিয়ে অন্য মুরগিকে আক্রমণ করে থাকে। আর এ ধরনের মুরগির মধ্যে ডিম খাওয়ার প্রবণতাও বেশি থাকে। এর ফলে মুরগির উৎপাদনের অনেকটা ক্ষতি হয়।
এসব বন্ধ করতে মুরগীর ঠোঁট কাটার প্রয়োজন পরে। মুরগির ঠোটের সূচালো কিছু অংশ কেটে ফেলাকে মুরগির ঠোঁটকাটা বলে। মুরগির বাচ্চার ক্ষেত্রে ঠোট ছ্যাকা দেয়ার পদ্ধতিকে বলা হয় বিক ট্রিমিং (beak trimming)।
যে মেশিন দিয়ে মুরগীর ঠোঁট কাটা হয় তাকে মুরগির ঠোটকাটা বা ডিবেকিং মেশিন (Debeaking machine) বলে।
মুরগির ঠোঁট কাটা বা ডিবিকিং মেশিন দিয়ে ঠোঁট কাটার পদ্ধতিঃ
► উপরের ঠোঁট বাচ্চার নাকের ২ সেঃ মিঃ সম্মুখ হতে এবং উপরের ঠোঁট হতে নীচের ঠোঁট ০.২ সেঃ মিঃ বড় রাখতে হবে।
► উভয় ঠোঁট পৃথকভাবে কাটতে হবে।
► ঠোঁট কাটার সময় তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। মিনিটে ১৫ টির বেশী মুরগির ঠোঁট কাটা উচিৎ নয়। ► ইলেকট্রিক যন্ত্রের সাহায্যে ঠোঁট কাটলে যন্ত্রের সংস্পর্শে ২ সেকেন্ড ধরে রাখলে সঠিক ভাবে ঠোঁট কাটা হয়।
► উপরের ঠোঁটের সামনের দিকের অংশ যেটির রং কিছুটা সাদাটে এবং সুচালো হয় (ঠোঁটের ১/৩ ভাগ অংশ) সেটিই কেটে বাদ দেয়া হয়। এখানে কাটলে কোন রক্তপাত হয় না। নীচের ঠোঁটের একবার সামনের অংশও কেটে বাদ দেওয়া উচিৎ।
যারা ঠোটকাটে বা ডিবেকার ম্যান তারা অনেকে প্রায়ই মুরগীর ঠোঁট হয় বেশি কাটে না হয় কম কাটে।কম কাটলে ঠোট বড় হয়ে যায় এবং ঠোকরা ঠুকরি করে। আবার বেশি কাটলে মুরগি ১ মাস খাবার খুব কম খায় ফলে ওজন কমে যায় এবং প্রডাকশন ১ মাস পিছিয়ে যায়। স্টেস বেশি পড়ার কারণে বিভিন্ন রোগ ব্যধি বেশি হয় যেমন পক্স, মেরেক্স, রানিক্ষেত, মাইকোপ্লাজমা, এন্টারাইটিস।
ঠোটকাটার পর স্টেস হরমোন রিলিজ হয় ফলে খাবার ও পানির রুচি কমে যায় এবং ২-৪ দিন খাবার বা পানি তেমন খায় না।
ঠোঁট কাটার পরবর্তী পরিচর্যাঃ-
► ঠোঁট কাটার ২ দিন পূর্ব থেকে পরবর্তী ৩ দিন পানির সাথে “ভিটামিন কে” সহ অন্যান্য ভিটামিন ব্যবহার করা।
► খাদ্যের সাথে অতিরিক্ত প্রোটিন বা আমিষ ব্যবহার করা।
► পানির পাত্রের গভীরতা বৃদ্ধি করা। ঘরে নিপল ড্রিংকার থাকলে এর পাশাপাশি ট্রাফ ড্রিংকার ব্যবহার করতে হবে।
► মাল্টিভিটামিন বা ডব্লিউ সি খাওয়ানো যেতে পারে। ঠোঁট কাটার পর ২/৩ দিন পর্যন্ত ভিটামিন দিয়ে যেতে হবে যাতে মোরগ-মুরগিগুলো পীড়ন বা স্ট্রেস থেকে রক্ষা পায়।
✓ মুরগির ঠোঁট কাটার ডিবেকার মেশিন কিনতে এখানে ক্লিক করুন
এগ্রোবাংলা ডটকম
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ‘ এ।