করোনা প্রতিরোধে কি খাবেন আর কি খাবেন না

করোনা প্রতিরোধে কি খাবেন আর কি খাবেন না

বর্তমান পৃথিবীতে বড় আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯ বা COVID-19)। এই ভাইরাসের আতঙ্কে সারা পৃথিবী এখন আতঙ্কিত। ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক সতর্কতা মূলক প্রচার চলছে। অনেকের মনে এই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে যে আদৌ কী কী খাওয়া দাওয়া করা উচিৎ এই সময়ে।সত্যি হলো এই রোগের প্রতিরোধক কোনও ওষুধ নেই, একমাত্র ভরসা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু করোনা নয়, যে কোনও রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা জরুরি। বেশি করে পানি খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, ব্যালান্সড ডায়েট অসুখকে দূরে রাখতে পারে।

করোনা কাদেরকে আক্রান্ত করে বেশী

যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা অন্যান্য বড় অসুখ ভুগছেন। যেমন- ডায়বেটিক, হৃদরোগ, অ্যাজমা রোগীরা এই ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন। মোদ্দা কথা শিশু ও বয়স্করা আছেন বাড়তি ঝুকিতে।

করোনা প্রতিরোধে যেসব খাবার খাবেন

বেশি করে ফল খান, খোসা ছাড়িয়ে খেতে হয় এমন ফল খান, সবজি বাজার থেকে কিনে, ভালো করে ধুয়ে, খোসা ছাড়িয়ে খান। এছাড়া ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল বা টক জাতীয় ফল ফল খান যেমন-লেবু, কমলা, আমলকী, মালটা, পেয়ারা, আনারস, বেদানা ইত্যাদি, নিজের ইমিউনিটি বুস্ট আপ করুন। দুধ বা দুধজাতীয় খাবার। যেমন-টকদই ও ছানা। খাদ্যশস্য (যেমন- লাল চাল, লাল আটা, মিষ্টি আলু), মাছ, মুরগি ও ডিম। প্রচুর রঙিন শাকসবজি। খেতে পারেন টমাটো ও কাঁচা মরিচ।

মৌসুমি সবজি, মাশরুম এবং আদাসহ চিকেন ক্লিয়ার স্যুপ, আদা, ব্ল্যাক ও জিঞ্জার-টি। আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে এন্টি-ভাইরাল খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি। ঘি ও মধু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সজনে ডাঁটা ও সজনে ফুল ভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম। খেতে পারেন এসব খাবার।

রসুনের রয়েছে অ্যালাইসিন নামক প্রাকৃতিক উপাদান। যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। একটি কাঁচা রসুন চিবিয়ে অথবা সূপের সঙ্গে যোগ করে খেতে পারেন। মুরগির মাংস ভালো করে রান্না করে খাবেন। ডিম ও ভালো করে সেদ্ধ করে খান। প্রতি দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

করোনা থেকে বাঁচতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

আইস ক্রিম, কোল্ড ড্রিঙকস খুবই কম খান। এগুলোতে করোনা ভাইরাস নেই। কিন্তু এগুলো খেয়ে ঠান্ডা লাগলে আপনার ইমিউনিটি এফেক্টেড হবে যেটা এই সময়ে বাঞ্ছনীয় না। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, ভাজাপোড়া খাবার। বাইরের হোটেল বা রাস্তার খাবার। সব ধরনের কার্বনেটেড ড্রিংকস, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, তামাক, সাদাপাতা, খয়ের ইত্যাদি। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাধা দিয়ে ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

এগ্রোবাংলা ডটকম