কেশ রাজ

কেশ রাজ

কেশরাজকে অনেক স্থানে কেশুতি, কেউতি, কালোকেশিরিয়া, কালসাতার গাছ নামে ডাকা হয়। ইউনানী নাম : বাংড়া। বৈজ্ঞানিক নাম Ectipta prostrata Linn,Elcipta alba Hask। এর পরিবার Compositae।

পরিচয়: বর্ষজীবী কেশরাজ গুল্ম জাতীয় উদ্দ্ভিদ।

শাখা: লতানো। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে। লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালছে,রসে ভার ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপ্রতীপ ভাবে বের হয়।

পাতা: কেশরাজের পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি,চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোঠে।

ফুল: পুল সাদা। অনেক গুলো সাদা সাদা রঙের পরাণ নালী। বৃতি পাচঁটি,সংযুক্ত। ফুল থেকে ফল হয়। ফুল র্অপ কয়েকদিনে ঝরে পড়ে ও ফল বাড়তে থাকে।

ফল: ফল গাঢ় সবুজ। প্লটের মত। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মত। খোসার ভেতর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো রঙের অসংখ্য বীজ থাকে। ফল ফেটে বীজ পড়ে চারা গজায়।

উপকারী অংশ: পাতা,কাণ্ড,ফুল ও ফল। এই উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল,ইউডে লোল্যাকটোন,লিউটেইওলিন,গ্লাইকোসাইড,ট্রিটারপেন,গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।

ব্যবহার:
» উদ্ভিদটি জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমি ও কাশি উপশম হয়।

» উদ্ভিদটির পাতা, ফুল ও ফলসহ সারাদেহ বেটে রস তৈরী করে নিয়মিত কয়েকদিন মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল লম্বা ও কালো হয়। প্রতিদিন রসের যোগান দেয়া সম্ভব না হলে এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিল তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে একই ফল পাওয়া যায়।

» শরীরের কাটা যাওয়া স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
মোবাইল-০১৭১২৬২৪৬০৩
এগ্রোবাংলা ডটকম
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ’ এ।