আখ ও পাটের পোকা

আখ ও পাটের পোকা দমন

ক্ষেতের পোকা দমন

পাট
উড়চুঙ্গা : পূর্ণবয়স্ক পোকার গায়ের রং কালো বাদামি ও দেখতে অনেকটা ফড়িংয়ের মতো। খরার সময় এই পোকার আক্রমণ বেশি হয়। বেলে ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে এরা সুড়ঙ্গ করে বাস করে। দিনের বেলায় গর্তের মধ্যে থাকে, সন্ধ্যার সময় গর্ত থেকে বের হয়ে পাটগাছের শেকড় ও কাণ্ডের অংশ কেটে খায়। কাজেই উড়চুঙ্গা আক্রান্ত জমিতে বাড়তি চারা বাছাই করে যেসব স্থান বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পাতলা হয়ে যায়, সেখানে রোয়া করে ক্ষেত ভরে ফেলতে হয়। ক্ষেতে উড়চুঙ্গার গর্ত দেখা গেলে প্রতিগর্তে ০ দশমিক ২৫ লিটার অনুমোদিত কীটনাশক মিশ্রিত পানি ঢেলে দিতে হবে।

বিছাপোকা : বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে ভাদ্রের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এদের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। বাচ্চা পোকার গায়ের রং হাল্কা সবুজ এবং পূর্ণতাপ্রাপ্ত পোকার রং কমলা ও গাঢ় হলুদ। এদের গায়ে অসংখ্য শুঁয়া থাকে। স্ত্রী-মথ পাতার উল্টো দিকে গাদা করে ডিম পাড়ে। ডিম থেকে বাচ্চা বের হওয়ার পর প্রায় ছয় থেকে সাত দিন পাতার নিচে দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে এবং সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মতো করে ফেলে। টানা কয়েক দিন আকাশ মেঘলা থাকলে এবং সেই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে পোকার আক্রমণ খুব বাড়ে।

বিছাপোকার প্রথম জীবনে বাচ্চা পোকাগুলো পাতার নিচে দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এ রকম সময়ে তখন পোকাসমেত পাতা তুলে গর্তে চাপা দিয়ে বা কেরোসিন মেশানো পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলা যায়। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ দশমিক ৫ মিলি ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ১২ লিটার পানিতে চা চামচের সাড়ে তিন চামচ অনুমোদিত ওষুধ মিশিয়ে সাত দিন অন্তর দুই বার স্প্রে করে বিছাপোকা দমন করা যায়।

ঘোড়াপোকা : কোনো কোনো এলাকায় এই পোকা ছটকাপোকা নামেও পরিচিত। বৈশাখের শেষ সময় থেকে শুরু করে শ্রাবণের শেষ পর্যন্ত এই পোকা পাটগাছের ক্ষতি করে। জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি থেকে আষাঢ়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত পোকার সংখ্যা খুব বেড়ে যায়। পোকার গায়ের রং সবুজ, কোনো কোনো সময় বাদামি এবং গায়ে কালো ডোরা থাকে। স্ত্রী মথ কচিপাতার নিচে দেড় শ থেকে ৬০০ পর্যন্ত ডিম পাড়ে। তিন-চার দিনের মধ্যে ডিম ফুটে পোকা বের হয়ে কচি পাতা খেতে শুরু করে।

ঘোড়াপোকার আক্রমণ দেখা দিলে কেরোসিন ভেজানো দড়ি গাছের ওপর দিয়ে টেনে দিলে এদের উপদ্রব কমে যায়। এ ছাড়া পাটক্ষেতে বাঁশের কঞ্চি বা গাছের ডালপালা পুঁতে দিয়ে পাখি বসার জায়গা করে দিলেও পাখিরা পোকা খেয়ে উপদ্রব কমিয়ে দেয়। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে দেড় মিলি ডায়াজিনন ৬০ ইসি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায়।

চেলেপোকা : আকারে ছোট ও কালো রঙের শুঁড়বিশিষ্ট পোকা। পূর্ণবয়স্ক এই পোকা পাতায় ছোট ছোট ছিদ্র করে খায়। স্ত্রী পোকা গাছের ডগায় ছিদ্র করে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে ডগার ভেতরে যায় এবং সেখানেই বড় হতে থাকে।
এতে গাছের ডগা মারা যায় এবং গাছের শাখা-প্রশাখা বের হতে থাকে। পাটক্ষেতের আশপাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার রাখলে এই পোকার আক্রমণ কমে যায়।

আক্রান্ত গাছগুলো তুলে ফেলে দিলে পোকার আক্রমণ কম হয়। আক্রমণ বেশি হলে ১০ দিন অন্তর প্রতি লিটার পানিতে দেড় মিলি মেটাসিসটক্স বা ২৫ ইসি বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয়।

কাতরীপোকা : স্ত্রী মথ পাট গাছের পাতার নিচে গাদা করে ডিম পাড়ে এবং ডিমগুলো একগুচ্ছ লোম দ্বারা আবৃত করে রাখে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে কচি পাতার নিচের দিকে মুড়ে জাল বুনে থাকে। পূর্ণবয়স্ক পোকার গায়ের রং সবুজ ও লম্বায় আড়াই সেন্টিমিটার। আক্রান্ত গাছের ঝাঁঝরা কচিপাতা দেখে এদের আক্রমণ সহজেই চেনা যায়। পূর্ণবয়স্ক পোকা গাছের প্রায় সব পাতাই খেয়ে ফেলে। প্রতি ১২ লিটার পানিতে ডায়াজিনন ৬০ ইসি মিশিয়ে স্প্রে করলে এ পোকা দমন করা যায়।

আখ
ডগার মাজরা পোকা : সারা বছরই এ পোকা দেখা যায়, তবে আগস্টে পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যায়। বয়স্ক পোকা দুধের মতো সাদা। সামনের পাখা জোড়ার প্রতিটিতে একটি করে কালো ফোঁটা আছে। বছরে এই পোকার পাঁচটি প্রজনন হয়ে থাকে।

ডিম ফুটে কিড়াগুলো পাতার মধ্যশিরা দিয়ে নালা করে কাণ্ডের মাথায় এসে পৌঁছায়। একটি আখে একটিই কিড়া প্রবেশ করে। আক্রান্ত পাতার এক প্রান্ত কালচে রং ধারণ করে এবং পাতার অগ্রভাগ কুঁকড়ে যায়। কিড়া আখের কচি ডগার ভেতরের নরম অংশ খেয়ে ফেলে এবং এ গাছ আর বাড়তে পারে না।

বয়স্ক পোকা (মথ), ডিমের গাদা এবং আক্রান্ত গাছ কেটে কিড়াসহ ধ্বংস করতে হবে। কার্বোফুরান কীটনাশক যেমন, ফুরাডান ৫জি একরপ্রতি ১৬ কেজি হারে মার্চ ও এপ্রিলে আখের চারার গোড়ায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। জমিতে রস কম থাকলে সেচ দেওয়ার পর কীটনাশক দিতে হবে। আখক্ষেত আগাছামুক্ত রাখতে হবে এবং আশপাশে ঝোপজঙ্গল থাকলে পরিষ্কার করে দিতে হবে।

কাণ্ডের মাজরা পোকা : জুলাই মাসে এ পোকার আক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়। এক সপ্তাহ পর ডিম ফুটে কিড়া বেরিয়ে আসে। কাণ্ডের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে এবং এগুলো দিয়ে করাতের গুঁড়ার মতো হলুদাভ পদার্থ বের হয়ে কাণ্ডে লেগে থাকে। বয়স্ক কড়া কাণ্ড থেকে বের হয়ে পরে পার্শ্ববর্তী আখে কিংবা একই আখের নিচের সুস্থ অংশেও আক্রমণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত গাছগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শনাক্ত করে কিড়াসহ কেটে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এভাবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এ পোকা দমন অব্যাহত রাখতে হবে। ডিমের গাদা সংগ্রহ এবং আলোর ফাঁদের সাহায্যে মথ সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। মে-জুন মাসে দানাদার কীটনাশক পাদান-৪জি একরপ্রতি ৩০ কেজি হারে আখের সারির উভয় পাশে নালা কেটে নালায় কীটনাশক প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

আখের গোড়ার মাজরা পোকা : এপ্রিল থেকে শুরু করে আগস্ট মাস পর্যন্ত এ পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। আখ কাটার পর আখের গোড়া (মোথা) ও আবর্জনা আগুনে পুড়ে নষ্ট করতে হবে। আক্রান্ত জমিতে সেচ দিয়ে প্লাবিত করলে কিড়ার আক্রমণ কমে যায়। আক্রান্ত গাছ মাটির দুই ইঞ্চি নিচে কেটে গোড়ায় অবস্থিত কিড়াসহ ধ্বংস করতে হবে। পোকামুক্ত বীজ জমিতে রোপণ করতে হবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা ক্ষতির ধরন : কিড়া কুঁড়ি, পাতার বোঁটা, কচি ডগা ইত্যাদি খেতে খেতে ভেতরে ঢোকে। ভেতরে ঢুকে ক্রমাগত খাওয়ার ফলে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। ফলে কচি ডগা ঢলে পড়ে এবং অবশেষে মারা যায়। একইভাবে ফল ছিদ্র করে ভেতরে ঢোকে ও শাঁস খায়। আক্রান্ত ফলের গায়ে কিড়ার মলসহ ছিদ্র দেখা যায়। আক্রান্ত বেগুন কাটলে ভেতরে মল ও পচা সুড়ঙ্গ দেখা যায়। কিড়াও দেখা যেতে পারে। বেশি আক্রান্ত হলে ফল খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং বাজারে আক্রান্ত বেগুনের চাহিদাও থাকে না।

যা করতে হবে
* প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার আক্রান্ত ডগা ও ফল ছিঁড়ে ধ্বংস করতে হবে অথবা মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে।
* ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আগাছা, বেগুনের মরা পাতা, আক্রান্ত ডগা ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে।
* ক্ষেতে সুষম সার ব্যবহার করতে হবে।
* সেক্স ফরোমেন ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথ ধরে এদের বংশ কমানো যায়।
* এক কেজি মেহগনির বীজ কুচি করে কেটে পাঁচ লিটার পানিতে চার-পাঁচ দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ছেঁকে ২০ গ্রাম সাবান বা সাবান গুঁড়া এবং পাঁচ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে ২০ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা হলে পাঁচ গুণ পানি স্প্রে করুন।
* সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে নিমজাত কীটনাশকের ব্যবহার করতে হবে।

কুমড়াজাতীয় ফলের মাছিপোকা করলা, শসা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, কাঁকরোলে।
ক্ষতির ধরন : স্ত্রী মাছি তার লম্বা সরু ডিম পাড়ার অঙ্গের সাহায্যে কচি ফলের খোসার নিচে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর ফলের গা থেকে পানির মতো তরল বের হয়ে আসে, যা শুকিয়ে বাদামি হয়ে যায়। এটিই আক্রমণের প্রাথমিক চিহ্ন। ডিম থেকে কিড়া বের হয়ে ফলের শাঁস খেয়ে বড় হতে থাকে। আক্রান্ত ফল হলুদ হয়, পচে যায় এবং অকালে ঝরে পড়ে। বেঁচে থাকা আক্রান্ত ফল বিকৃত হয় এবং ঠিকমতো বাড়তে পারে না। পূর্ণাঙ্গ কিড়া মাটিতে পুত্তলিতে পরিণত হয়। কোনো কোনো সময় স্ত্রী মাছি ফুলের দলমণ্ডল এবং কাণ্ডে ডিম পাড়ে।

যা করতে হবে * আক্রান্ত ফল ও ফুল গাছে বা নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে বা পিষে মেরে ফেলা।
* উত্তমরূপে জমি চাষ করলে পুত্তলিগুলো বের হয়ে পড়ে এবং পরভোজী পোকা ও পাখি এদের খেয়ে ফেলে।
* কচি ফল কাগজ, কাপড় বা পলিব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখা।
* জমিতে বা মাচায় কাঁঠালের মোথা ঝুলিয়ে রাখলে স্ত্রী পোকা তাতে ডিম পাড়ে।
* সেক্স ফরোমেন ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথ ধরে এদের বংশবৃদ্ধি কমানো যায়।
* বিষটোপ ফাঁদ ব্যবহার করা। বিষটোপ তৈরির জন্য ১০০ গ্রাম থেঁতলানো কুমড়ার সঙ্গে ০.২৫ গ্রাম ডিপটেরেক্স পাউডার ও ১০০ এমএল পানি মিশিয়ে মাটির পাত্রে জমির বিভিন্ন স্থানে রেখে দিতে হবে। হেক্টরপ্রতি এরূপ ৫০-৭৫টি টোপ প্রয়োগ করতে হবে। তিন-চার দিন পর পর বিষটোপ পরিবর্তন করতে হবে।
* সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে নিমজাত কীটনাশকের ব্যবহার করতে হবে।

বিটিল পোকা যেসব সবজির ক্ষতি করে : মিষ্টি কুমড়া, লাউ, শসা, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, করলা ইত্যাদি।
ক্ষতির লক্ষণ : পূর্ণাঙ্গ পোকা পাতা ছিদ্র করে খাওয়ার আগে ফোঁটা ফোঁটা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গোলাকার দাগ সৃষ্টি করে। বয়স্ক পোকা পাতা ছাড়াও অনেক সময় ফুল ও ফল খেয়ে নষ্ট করে। পূর্ণাঙ্গ পোকা বীজ থেকে গজানো সদ্য বীজপত্র ছিদ্র করে খেয়ে ফেলে। কিড়া বা গ্রাব শিকড় বা মাটির নিচে থাকা কাণ্ড ছিদ্র করে। ফলে গাছ ঢলে পড়ে এবং শেষে শুকিয়ে মরে যায়। এরা মাটির সংস্পর্শে থাকা ফলও ছিদ্র করে নষ্ট করে।

যা করতে হবে * কুমড়াজাতীয় সবজি চারা অবস্থায় আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক পোকা ধরে মেরে ফেলা।
* ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
* কেরোসিন মিশ্রিত ছাই গাছে ছিটানো।
* ক্ষেতের আশপাশের বিকল্প পোষক অর্থাৎ কুমড়াজাতীয় সবজি নষ্ট করা।
* গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে কিড়া উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং ডাল পুঁতে পাখি বসার জায়গা করে দেওয়া।
* চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বেঁচে যায়।
* এক কেজি মেহগনি বীজ কুচি করে কেটে পাঁচ লিটার পানিতে চার-পাঁচ দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ছেঁকে ২০ গ্রাম সাবান বা সাবান গুঁড়া এবং পাঁচ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে ২০ মিনিটে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা হলে পাঁচ গুণ পানি স্প্রে করুন।
* সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে নিমজাত কীটনাশকের ব্যবহার করতে হবে।

উপসংহার জৈবিকভাবে ফসলের বালাই দমনে আইপিএম একটি লাগসই প্রযুক্তি, যা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৯০ শতাংশ ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন করা সম্ভব। খরচ কীটনাশক ব্যবহারের তুলনায় তিন গুণ কমে যায়। অথচ ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন করতে গিয়ে কৃষক বহু টাকা অপচয় করে, কিন্তু তেমন কাজ হয় না। জৈবিক পদ্ধতি আমাদের ফসল উৎপাদনে তুলনামূলক সাশ্রয়ী এবং কার্যকর। ফলে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয় এবং উৎপাদিত সবজি হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ’ এ।