বাছুরের পরিচর্যা
একটি সুস্থ ও সবল বাছুর আগামী দিনের একটি ভালো উৎপাদনক্ষম ষাড় বা গাভীতে পরিণত হয়। তাই অধিক উৎপাদনক্ষম গাভী পেতে হলে গর্ভবতী গাভী ও বাছুরের যত্ন নিতে হবে। দেশে ষাড় দিয়ে প্রচলিত প্রাকৃতিক প্রজনন বন্ধ করে আধুনিক প্রযুক্তির কৃত্রিম প্রজনন ব্যবহার করতে হবে। এতে করে দুগ্ধ খামারের জন্য উন্নত জাতের সংকর বাছুর পাওয়া যাবে। নিম্নে বাছুরের সার্বিক পরিচর্যা আলোচনা করা হলো।
» একটি ভালো বাচ্চার জন্য গর্ভাবস্থায় গাভীকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করা।
» বাচ্চা প্রসবের সময় গাভীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুকনো জায়গায় রাখা।
» বাছুর জন্মের স্থান শুকনো খড় ও ছালা বিছিয়ে নরম করে দেওয়া।
» বাছুর জন্মের পর পরই তাকে ছালার উপর রেখে নাক মুখের শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে দিতে হবে যাতে বাছুরের শ্বাস-প্রশ্বাসে সুবিধা হয়।
» শরীর পরিষ্কার করার পর পরই বাছুরকে গাভীর সম্মুখে দিতে হবে, এতে গাভী বাছুরের নাক, মুখ, চোখ ও শরীর থেকে আঠাল পদার্থ চেটে পরিষ্কার করে দেয়। এরপর সম্ভব হলে বাচুরের শরীর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেওয়া।
» বাছুরের নাভী রজ্জু ঝরে না গেলে নাভী থেকে ৫ সেন্টিমিটার দূরে নতুন ব্লেড দিয়ে নাভী রজ্জু কেটে দিয়ে সেখানে টিংচার আয়োডিন, বেনজিন, ডেটল বা স্যাভলন লাগানো।
» বাছুরকে শাল দুধ খাওয়ানো।
» বাছুর ও গাভীকে অন্য পশু থেকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে।
» বাছুর যাতে পরিমিত দুধ পান করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা।
» বাছুরকে প্রয়োজনে মিল্ক রিপ্লেসার (Milk Replacer) ও কিড র্স্টাটার (Kid Starter) খাওয়ানো।
» বাছুরকে দৌড়াদৌড়ি করার সুযোগ দেওয়া যাতে বাছুরের দেহ সুস্থ ও সবল থাকে।
» এঁড়ে বাছুরকে সময়মতো খাসি করানো।
এগ্রোবাংলা ডটকম
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ’ এ।