সোনার ধান বাংলামতি

সোনার ধান বাংলামতি

নতুন উদ্ভাবিত বাংলামতি ধানের চাল বিদেশে রপ্তানি করে বছরে হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাসমতিসদৃশ এ ধান কৃষকের ভাগ্য ফেরাতে পারে বলেও আশা করছেন ব্রি’র সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ে প্রথম চাষকারী কৃষকরা।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী বাসমতিসদৃশ এ ধান মাঠ পর্যায়ে প্রথমবার চাষে এ বছর আশাতীত ফলন ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে তা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি’র হাতে এর বীজ পৌঁছানোর আগেই কৃষক পর্যায়ে সংরক্ষিত বীজ সংশ্লিষ্ট এলাকা ছাড়াও সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। কেবল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা গ্রামের যে কৃষকের জমিতে এবার বোরো মৌসুমে বাংলামতি ধানের চাষ করা হয় সেখান থেকে এ পর্যন্ত দেশের ২১ জেলার কমপক্ষে ২০০ আগ্রহী চাষি, বিভিন্ন পেশাজীবী ও শৌখিন ব্যক্তি সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ ধানের আবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে এবং ব্রি ধান-২৮ বা বোরো মৌসুমে আবাদকৃত অন্যান্য জাতের ধানের স্থলাভিষিক্ত হবে। এমনকি হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদও কমে যেতে পারে। কারণ এ ধানের ফলন হাইব্রিড ধানের কাছাকাছি। এছাড়া বাংলাদেশের বাংলামতি ভারত ও পাকিস্তানের বাসমতি চালের অন্যতম প্রতিযোগী হয়ে উঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলামতি ধান থেকে যে চাল পাওয়া যাবে তা বাসমতির মতো সুগন্ধি ও উন্নতমানের হওয়ায় এ চাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। তাই সরকারি পর্যায়ে বিশেষ করে বিএডিসির মাধ্যমে উন্নতমানের বীজ তৈরি এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ প্রদর্শনী ও মাঠ দিবসের মাধ্যমে এ ধানের সঠিক চাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণ প্রয়োজন। তা না হলে কেবল কৃষক পর্যায়ে সংরক্ষিত বীজ ও চাষ সম্প্রসারণ করে এ ধান চাষে যে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগানো যাবে না এবং বীজের মান রক্ষা করে অধিক ফলন ধরে রাখা যাবে না বলেও বিশেষজ্ঞদের অভিমত । গত মৌসুমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে যশোরে পরীক্ষামূলকভাবে চাষের পর এবার ব্যক্তি আগ্রহে যশোরের বাইরে মাত্র ১০-১২ জন কৃষক এ ধানের চাষ করেছেন। যার প্রায় সবই পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সব চাষির ধান কর্তন ও মাড়াই শেষ হয়েছে। ব্রি’র ঈপ্সিত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬ মে. টন ছাড়িয়ে গড় উৎপাদন ৭ টনে পৌছেছে, যা খুবই আশাব্যঞ্জক বলে মনে করেন কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। কয়েক জায়গায় উৎপাদন ৮ টনে পৌঁছেছে।

ভারত ও পাকিস্তানের বাসমতির সর্বোচ্চ একরপ্রতি ফলন ৩০-৪০ মণ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাংলামতির উৎপাদন একরে ৭০-৮০ মণ পর্যন্ত পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের তুলনায় কম দামে চাল বিক্রি করলেও বেশি লাভবান হবে আমাদের দেশের কৃষকরা। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের দেরাদুন বাসমতি বা পাকিস্তানের বাসমতি চালের প্রতি কেজির বিক্রয় মূল্য তিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকার মানে ২০০ টাকার উপরে। বাংলাদেশ বছরে যদি ৪০-৫০ হাজার মে. টন বাংলামতি চাল রপ্তানি করতে পারে তবে হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। আর এই ৫০ হাজার মে. টন চাল রপ্তানিতে যে ঘাটতি হবে তা আউশ মৌসুমে ধান চাষ সম্প্রসারণ করে মেটানো সম্ভব। ব্রি’র জেনেটিকস রিসার্চ ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খায়রুল বাসার জানান, ১৯৭৬ সালে আমন মৌসুমে চাষ উপযোগী সুগন্ধী ধান দুলাভোগ বা ব্রি-৬ উৎপাদনের দীর্ঘদিন পর আমন মৌসুমে চাষ উপযোগী সুপার অ্যারোমেটিক রাইস হিসেবে আমরা বাংলামতি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছি।

এ ধান বাসমতির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে। খুলনা অঞ্চলে বাংলামতি ধানের চাষ প্রবর্তক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপরিচালক এসএম আতিয়ার রহমান জানান, তার পৈতৃক জমিতে বাংলামতি চাষ করে এ বছর ফলন পাওয়া গেছে একরে ৭২ মণ যা হেক্টরপ্রতি ৭ মে. টন। পত্র-পত্রিকায় এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশের পর এ পর্যন্ত তাদের বাড়ি থেকে বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, মুন্সীগঞ্জ, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ফরিদপুর থেকে এসে অথবা ফোনে যোগাযোগ করে কুরিয়ারের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করেছেন।
লেখক: মুহাম্মদ শাহ জামান, খুলনা
এগ্রোবাংলা ডটকম

বাংলামতির ধান থেকে চাল রুপান্তরে করণীয়

বাংলামতি এক ধরনের সুগন্ধিজাতীয় ধান। এ ধানের ফলন একর প্রতি প্রায় ৭০ থেকে ৯০ মণ অর্থাৎ বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অনেক এলাকায় বাংলামতি ধান চাষ হচ্ছে। এ ধান মৃদু লবণসহিষ্ণু। উৎপাদনের দিক থেকে বাসমতির চেয়ে বাংলামতি প্রায় দ্বিগুণ। অন্য ধানের চেয়ে এ ধানের উৎপাদন খরচও অনেক কম। দুই বছর আগে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই ধান উদ্ভাবনের পর ফলন হেক্টরপ্রতি সাড়ে ৬ থেকে ৭ মেট্রিক টন নির্ধারণ করলেও বাস্তবে তা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫৫টি জেলায় এ ধানের বীজ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধান চাষে প্রাথমিকভাবে সাফল্য অর্জিত হলেও এ ধান থেকে চাল করাই প্রধান সমস্যা ছিল। তবে এর সমাধান নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে বাংলামতি ধান থেকে উন্নতমানের চাল বের করার উপায় উদ্ভাবন করেছে।

ব্রি’র তথ্য ও মাঠপর্যায়ে মিলিং অভিজ্ঞতা থেকে বলা হয়েছে, এ ধান কাটার পর যাতে বৃষ্টির পানিতে ভিজে না যায় সে দিকে নজর রাখতে হবে। ধানে শিশির লাগানো যাবে না এবং কাটার পরপরই তা পালাজাত করে রাখা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ধান কাটার পরপরই তা মাড়াই করে কমপক্ষে এক দিন রোদে শুকিয়ে রাখতে হবে। এ ছাড়া বাংলামতি ধান মিলিংয়ের আগে ঠিকমতো শুকাতে হবে। সেদ্ধ চাল করতে অবশ্য তেমন কোনো সমস্যা নেই। আতপ চাল করার ক্ষেত্রে চাল ভেঙে যাওয়ার কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে আতপ চালের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১৮-২০ ঘণ্টা রোদে শুকানো প্রয়োজন। একসাথে টানা চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি রোদ লাগানো যাবে না। তাই প্রতিদিন চার-পাঁচ ঘণ্টা করে চার-পাঁচ দিন সময় নিয়ে মোট ১৮-২০ ঘণ্টা রোদ দিলেই যথেষ্ট। ১৫-১৬ ঘণ্টা রোদের পর চাল বের করে দেখতে হবে তা শুকিয়েছে কি না। দাঁতে চাপ দিয়েই তা বোঝা যায়। যদি এ-পর্যায়ে ধান ভালোভাবে শুকিয়ে যায় আর রোদে না দিলেও চলে। এরপর যে অটো রাইস মিলে রাবার হোলার আছে সেখানে আতপ চাল ভালোভাবে করা যাবে। এ ধান থেকে চাল করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চাল প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণে দেশের খ্যাতনামা কয়েকটি আধুনিক অটো রাইস মিল এগিয়ে আসায় চলতি বোরো মওসুমে দেশে বাংলামতি ধানের আবাদ এক লাখ হেক্টর অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাজীপুরের চাচাভাতিজা অটো রাইস মিলে পরীক্ষামূলক মিলিং করে উন্নতমানের চাল তৈরি করা হয়। ফলে কৃষকের দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে। রাবার হোলার আছে এমন অটো রাইস মিলে এ ধান থেকে চাল করার ক্ষেত্রে এখন তেমন কোনো অসুবিধা নেই। মাঠপর্যায়ে এ ধানের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

ব্রি’র মতে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত ধরনের ধান চাষ হয় তার মধ্যে বাংলামতি (ব্রি ধান-৫০) হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধান। ধানের আকার, গুণগতমান, ফলন ও অন্য সব দিক মিলিয়ে বাংলামতি হচ্ছে বাংলার ধানের রানী বা বাংলামতি। এতটা চিকনমানের লম্বা সুগন্ধি ধান যেমন আর বাংলাদেশে নেই, তেমনি নন-হাইব্রিড হওয়া সত্ত্বেও বাংলামতির ফলন হাইব্রিড ধানের কাছাকাছি। নন-হাইব্রিডের মধ্যে একমাত্র ব্রি-২৯ ছাড়া অন্য কোনো ধানের ফলন এর ওপরে নেই। বাংলামতি ধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর চালে হালকা সুগন্ধি রয়েছে। ফলে আমাদের দেশের কালোজিরা, চিনি আতপ বা কাটারির চালের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

বাংলামতি ধানের চাল বাজারজাতকরণে এগিয়ে এসেছে আধুনিক অটো রাইস মিলগুলো। এ বছর নওগাঁর ম্যাবকো গ্রুপ ও কুষ্টিয়ার স্বর্ণা অটো রাইস মিল প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাংলামতি চাল বাজারজাত করা শুরু করেছে। স্বর্ণার পরিচালক সাফায়েত হোসেন বলেন, তাদের প্রক্রিয়াজাত করা বাংলামতি চাল প্রধানত ঢাকার বাজারে চাহিদা বাড়ছে। এবার বোরো ফসল তোলার পর তারা এককভাবে এ ধান সংগ্রহ ও চাল বাজারজাত করবেন। একই এলাকায় অবসি’ত আধুনিক অটো রাইস মিল রশিদ অ্যাগ্রো ফুড কর্তৃপক্ষ জানান, তারা মূলত এত দিন মিনিকেট চাল প্রক্রিয়া ও বাজারজাত করে আসছেন। গত বছর প্রয়োজনীয় পরিমাণ বাংলামতি ধান না পাওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাংলামতি চাল বাজারজাত করতে পারেননি। চলতি বোরো মওসুমে উৎপাদিত বাংলামতি ধান সংগ্রহ এবং এর চাল তারা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যশোরের নওয়াপাড়ায় অবসি’ত আধুনিক মজুমদার অটো রাইস মিল কর্তৃপক্ষ জানান, পর্যাপ্ত বাংলামতি ধান পেলে তারাও আগামী মওসুমে এ ধান সংগ্রহ ও নিজস্ব ব্র্যান্ডে চাল বাজারজাত করবেন। নাটোর, নওগাঁ ও দিনাজপুরে আতপ চাল তৈরির প্রসিদ্ধ মিলের মধ্যে কয়েকটি আগামী মওসুমে আতপ চাল বাজারজাত করবে বলে জানিয়েছে। দেশীয় মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসায় বাংলামতি ধান ও চালের অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলামতি ধান চাষের অগ্রবর্তী উদ্যোক্তা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান জানান, গত মওসুমে বাংলামতি ধানের উৎপাদন আশাব্যঞ্জক হলেও চাষিরা এ ধান বিক্রি করতে সমস্যায় পড়েন। অপরিচিত ধান হওয়ায়, তার ওপর আতপ চাল ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন। এটি ঠিক, যেহেতু নন-হাইব্রিড ধান হিসেবে বাংলামতি ধানের ওপর আর কোনো সরু ও সুগন্ধি ধান নেই। তাই এ ধানের চাল অবশ্যই ভোক্তারা পছন্দ করবেন। দেশীয় বড় বড় অটো রাইস মিলার ও বাজারজাতকারীরা এগিয়ে আসায় আগামী মওসুমে বাংলামতি ধান বিক্রি ও চাল তৈরিতে সমস্যা এতটা থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তার ক্ষেতের সংরক্ষিত বীজ ধান এ বছরও রাজশাহী, দিনাজপুর, মাগুরা, ফরিদপুর, নাটোর এলাকার কৃষকেরা নিয়ে যাচ্ছেন। চিকন ও সুগন্ধি ধানের দেশের প্রধান আবাদ অঞ্চল হিসেবে দিনাজপুর ও নাটোর এলাকায় এ ধানের আবাদ বাড়লে আতপ চাল বাজারজাতকরণে সুবিধা হবে এবং রফতানিতেও অনেকে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি মনে করেন। এক মণ বাংলামতি ধান থেকে প্রায় ২৫ থেকে ২৮ কেজি আতপ চাল পাওয়া যায়। উন্নতমানের মিলে চাল ভাঙার পরিমাণ ৩ থেকে ৫ শতাংশ এবং সাধারণ অটো রাইস মিলে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। যেহেতু এতটা লম্বা মানের ধান ভাঙানোর প্রযুক্তি এখনো মিলে সংযোজন হয়নি, তাই আতপ চালে ভাঙার পরিমাণটা একটু বেশি। ভাঙা চাল দিয়ে উন্নতমানের সুজি বা চালের গুঁড়া তৈরি ছাড়াও ফিরনি তৈরিতে কাজে লাগানো সম্ভব। যেকোনো অটো রাইস মিলে প্রচলিতভাবে এক মণ বাংলামতি ধান থেকে ২৬ কেজি সেদ্ধ উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব।
এগ্রোবাংলা ডটকম
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ’ এ।