কাঁঠাল চাষ

কাঁঠাল চাষ

কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। এর ইংরেজি নাম Jackfruit বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus. আকারের দিক থেকে কাঁঠাল সবচেয়ে বড় ফল। বাংলাদেশের সব জেলাতেই কাঁঠালের চাষ হয়। তবে ঢাকার উঁচু অঞ্চল, সাভার, ভালুকা, ভাওয়াল ও মধুপুরের গড়, বৃহত্তর সিলেট জেলার পাহাড়ি এলাকা, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি কাঁঠাল উৎপন্ন হয়।

জাত পরিচিতি: কাঁঠালের কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে তিন ধরণের কাঁঠাল চাষ হয়-খাজা, আদারসা ও গালা। এছাড়া ভিয়েতনামের লাল কাঁঠাল বলে আরেকটি জাত আছে।

চারা তৈরি: সাধারণত কাঁঠালের বীজ থেকেই চারা তৈরি করা হয়। ভাল পাকা কাঁঠাল থেকে পুষ্ট বড় বীজ বের করে ছাই মাকিয়ে ২/৩ দিন ছায়ায় শুকিয়ে বীজতলায় বপন করলে ২০-২৫ দিনে চারা গজাবে। জ্জ মাসের চারা সতর্কতার সাথে তুলে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। এছাড়া গুটি কলম, ডাল কলম, চোখ কলম, চারা কলম এর মাধ্যমেও চারা তৈরি করা যায়।

চারা রোপণ: ষড়ভূজী পদ্ধতিতে সুস্থ সবল ও রোগমুক্ত চারা বা কলম মধ্য জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য শ্রাবণ মাসে রোপণ করতে হয়। গাছ ও লাইনের দূরত্ব ১২ মিটার করে রাখা দরকার।

উপযুক্ত জমি ও মাটি: পানি দাঁড়ায় না এমন উঁচু ও মাঝারি সুনিষ্কাষিত উর্বর জমি কাঁঠালের জন্য উপযোগি।

সার ব্যবস্থাপনা: রোপণের সময় প্রতি গর্তে গোবর ৩৫ কেজি, টিএসপি সার ২১০ গ্রাম, এমওপি সার ২১০ গ্রাম সার প্রয়োগ করতে হয়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রতি গাছের জন্র সারের পরিমান বৃদ্ধি করা দরকার।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: চারা/ কলমের তাড়াতাড়ি বাড়বাড়তি হওয়ার জন্য পরিমিত ও সময় মতো সেচ প্রদান করা দরকার।

পোকা মাকড় ব্যবস্থাপনা:

কাঁঠাল পচা রোগ: এক ধরণের ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয। এ রোগের আক্রমণে কচ ফলের গায়ে বাদমি রঙের দাগের সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত ফল গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে।

প্রতিকার: গাছের নিচে ঝড়ে পড়া পাতা ও ফল পুড়ে ফেলতে হয়। ফলিকুর ছত্রাকনাশক ০.০৫% হারে পানিতে মিশিয়ে গাছে ফুল আসার পর থেকে ১৫ দিন পর পর ৩ বার সেপ্র করা দরকার।

মুচিঝরা রোগ: ছত্রাকের আক্রমণের কারনে ছোট অবস্থাতেই কালো হয়ে ঝড়ে পড়ে।

প্রতিকার: ডাইথেন এম ৪৫ অথবা রিডোমিল এম জেড ৭৫, প্রতিলিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম করে মিশিয়ে সেপ্র করতে হবে।

ফসল তোলা: ফল পাকতে ১২০-১৫০ দিন সময় লাগে। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ- আষাঢ় মাসে কাঁঠাল সংগ্রহ করা হয়।
এগ্রোবাংলা ডটকম

ফলনপরবর্তী কাঁঠাল গাছের পরিচর্যা

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। জার্মপ্লাজম ভেদে গাছে কাঁঠালের সংখ্যা, আকার-আকৃতি এবং ফলনে তারতম্য হয়ে থাকে। আবার আবহাওয়া, পরিবেশ ও পরিচর্যার কারণেও ফলনে পার্থক্য হতে দেখা যায়। কাঁঠালের ফলন বৃদ্ধিতে সঠিক পরিচর্যা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কিছু পরিচর্যার মাধ্যমে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় ও আকার-আকৃতি উন্নত করা যায়।

মৌসুমের পর কাঁঠাল গাছের অঙ্গ ছাটাই:কাঁঠাল গাছে ফল সাধারণত এর কাণ্ড এবং শাখা-প্রশাখা থেকে উত্পন্ন ফুটস্টকে ধরে। কর্তিত বোঁটার বা ডালের গিঁটের মত উঁচু জায়গা হতে ফুটস্টক বের হয়। ফুটস্টক যত বেশি হবে কাঁঠালও তত বেশি হবে। এ জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে কাণ্ডে ঝুলে থাকা কাঁঠালের বোঁটার অবশিষ্টাংশ ও ছোট ডাল-পালা ছেটে দিতে হবে।

সার প্রয়োগ:মাটির গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে বছরে দু’বার সার প্রয়োগ করা উচিত্। প্রথম কিস্তি মে মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তি অক্টোবর মাসে প্রয়োগ করতে হবে। বয়স্ক গাছের গোড়া থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূর দিয়ে রিঙ পদ্ধতিতে কাঁঠাল গাছে সার প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের পর এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত ৩০ কেজি গোবর, ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৪০০ গ্রাম টিএসপি, ৩৫০ গ্রাম এমপি এবং ৮০ গ্রাম জিপসাম; চার থেকে ছয় বছর পর্যন্ত ৪০ কেজি গোবর, ১৫ বছরের উর্ধ্বে ৬০ কেজি গোবর, ১২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৬০০ গ্রাম টিএসপি, ১২৫০ গ্রাম এমপি ও ৩০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের পর তিন বছর পর্যন্ত মোট ইউরিয়া এবং পটাশ সারকে ছয় ভাগে ভাগ করে দু’মাস পর পর প্রয়োগ করলে গাছের দ্রুত অঙ্গজ বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

সেচ ও পানি নিষ্কাশন:কাঁঠাল গাছের জন্য সেচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নভেম্বর মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৫ দিন অন্তর অন্তর সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। গাছের গোড়া থেকে তিন/চার ফুট জায়গা বাদ দিয়ে চারদিকে থালার আকৃতি করে সেখানে সেচ দিতে হবে। কাঁঠাল গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই গাছের গোড়ায় যাতে পানি না দাঁড়ায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

রোগ-বালাই ও ব্যবস্থাপনা:রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনার জন্য অতিরিক্ত ডালপালা ছাটাই করে কাঁঠাল গাছের সঠিক আকার দিতে হবে। সময়মত প্রুনিং এবং ট্রেনিং করতে হবে। প্রুনিং এবং ট্রেনিং এ ধারালো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। ভাঙা ডালপালা করাত দিয়ে সুন্দর করে কেটে প্রুনিং পেস্ট লাগিয়ে দিতে হবে।

কাঁঠালের গুরুত্বপূর্ণ একটি রোগ হলো ফলপচা রোগ। এতে কচি ফলের গায়ে বাদামী রঙয়ের দাগের মত হয়ে ফলের পচন হয় এবং ঝরে পড়ে। এ রোগ দমনের জন্য পুরুষ ও স্ত্রী পুষ্পমঞ্জরী বের হওয়ার সময় থেকে ১০দিন পর পর দুই/তিন বার ম্যাকুপ্র্যাক্স বা কুপ্রাভিট অথবা সমগোত্রীয় ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে দু’ গ্রাম হারে অথবা ইন্ডোফিল এম-৪৫/ডায়থেন এম ৪৫ অথবা সমগোত্রীয় ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

কাঁঠালের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণে গাছের গুড়িতে গর্ত হয়ে থাকে। এর প্রতিকারের জন্য সুচালো লোহার শলাকা গর্তের ভেতর ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে পোকার কীড়া মারতে হবে। গর্তের মুখ পরিস্কার করে এর মধ্যে কেরোসিন বা পেট্রোল ঢুকিয়ে গর্তের মুখ কাদা মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। ফুল আসার সময় সুমিথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি অথবা সমগোত্রীয় কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর দুই/তিন বার স্প্রে করতে হবে।

কাঁঠালের ব্যাগিং:কাঁঠালকে ব্যাগিং করেও ফল ছিদ্রকারী পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। এ জন্য কাঁঠালের পুষ্পমঞ্জরী ফলে পরিণত হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩০ দিন পর যখন পাঁচ/ছয় ইঞ্চি প্রশস্ত এবং আট/নয় ইঞ্চি লম্বা হয় সে সময়টাতে কাঁঠালকে ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে বোঁটার কাছে ব্যাগের খোলা মুখ সুতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে এবং তা ফল সংগ্রহ পর্যন্ত রাখতে হবে। এ জন্য ট্রান্সপারেন্ট পলিথিন ব্যাগ, কালো পলিথিন ব্যাগ এবং সিমেন্টের ব্যাগ ব্যবহার করা যায়। কালো পলিথিনের ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করতে পারে না বলে এতে কাঁঠালের রঙ আকর্ষণীয় হলুদ হয়ে থাকে। ব্যাগিং-এর পূর্বে ফলকে নিরোগ এবং পোকার আক্রমণমুক্ত রাখার জন্য ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
লেখক: মো. জিল্লুর রহমান
এগ্রোবাংলা ডটকম

পুষ্টিও খাদ্য নিরাপত্তায় কাঁঠাল

চাহিদার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তায় কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মৌসুমে এর প্রচুর সরবরাহ থাকায় অন্যান্য ফলের চেয়ে দাম কম, তাই ধনী-গরিব সবাই নিতে পারে এর স্বাদ।
কাঁঠাল বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। বছরের পর বছর এর গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে কাঁঠাল সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনেকের ধারণা। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, বার্মা, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ চীন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি দেশে কাঁঠালের চাষাবাদ হচ্ছে। উত্পাদনে বাংলাদেশের গাজীপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, মাওনা, সাভার, ভালুকা, নরসিংদী, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, যশোর ও রংপুর অন্যতম। সামগ্রিক ফলের বিবেচনায় কাঁঠালের অবস্থান আবাদকৃত জমির পরিমাণের দিক থেকে তৃতীয় এবং উত্পাদনের পরিমাণের দিক থেকে দ্বিতীয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০০৮ সালের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেশে কাঁঠালের বাগান আকারে আবাদি জমির পরিমাণ ৯ হাজার ৯শ’ ৬৮ হেক্টর এবং বাগান ও বাগানের বাইরে মোট উত্পাদন ৯ লাখ ৭৬ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন। বাগান আকারে কাঁঠালের চাষ বেশি না হলেও বসত বাড়ির আঙিনায়, রেল লাইন ও রাস্তার ধার দিয়ে, ক্ষেতের আইলে তথা অব্যবহূত স্থানে বাংলাদেশের সব জায়গায়ই কাঁঠালের চাষ হয়। তবে দিন দিন কাঁঠালের উত্পাদন অঞ্চল কমে যাচ্ছে।

কাঁঠালের মোট ওজনের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষের খাদ্য। পাঁচ কেজি ওজনের একটা কাঁঠালে আধা কেজি বীজ এবং আড়াই কেজি পাল্প হয়। এতে গড়ে ১০০ কোষ পাওয়া যায়। একটা কোষের গড় ওজন প্রায় ২৫ গ্রাম। একজন মানুষ চার পাঁচ কোষ খেয়ে সহজেই দৈনিক ফলের চাহিদা (৮৫ গ্রাম) মেটাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে ১০০ গ্রাম কাঁঠালের পাল্প থেকে ৭.২ মলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১৮.১% চিনি, ৭.০৭% প্রোটিন এবং ৫৭০ আন্তর্জাতিক একক মাত্রার ক্যারোটিন এবং ৯৪ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। এর উচ্চমাত্রার ক্যারোটিন যা পরবর্তীতে শরীরে ভিটামিন এ তে পরিবর্তিত হয়ে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। কাঁঠাল পাকার পর কোষের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। অতি নরম কাঁঠালকে রসা কাঁঠাল বলে। এর পাল্প সহজেই গলে যায়, রসালো প্রকৃতির এবং বেশ মিষ্টি। এর টিএসএস ২০ থেকে ৩০% হয়। নরম ও শক্তের মাঝামাঝি পাল্পসমৃদ্ধ কাঁঠালকে আদরসা কাঁঠাল বলে। এর টিএসএস ১৮ থেকে ২৪% হয় এবং খুব মিষ্টি। যে কাঁঠালের পাল্প শক্ত তাকে খাজা কাঁঠাল বলে। এর টিএসএস সাধারণত ১৪ থেকে ২০% হয়। মাঝারি ধরনের মিষ্টতা থাকে এ কাঁঠালে।

কাঁঠাল শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পাকা কাঁঠালের কোষ মানুষ সরাসরি খায়। আবার প্রক্রিয়াজাতকরণ করে যেমন, চিপস, ক্যান্ডি, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি তৈরি করেও খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এর বীজ উত্কৃষ্টমানের তরকারী। একে ভেজেও খাওয়া যায়। কাঁঠালের উপরিভাগ এবং অন্যান্য অংশ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়। এর পাতা ছাগলের খাবার হিসেবে সমাদৃত। যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুরের অনেক জায়গায় কাঁঠাল পাতার বাজার আছে। কাঁঠাল একবার ভেঙে খাওয়া শুরু করলে তা প্রায় দুই দিন খাওয়া যায়। আগের দিন বিকাল থেকে পরের দিন রাত পর্যন্ত ভালভাবেই খাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কাঁঠালটি বোটার দিক থেকে খোসা ছাড়িয়ে একদিক থেকে ভাঙতে হবে। প্রয়োজন না হলে পুরোটা খোসা ছাড়ানোর দরকার নেই। আদরসা ধরনের কাঁঠাল সহজে নষ্ট হয় না। রসা ধরনের কাঁঠাল অতিরিক্ত নরম বিধায় তা সংরক্ষণের জন্য উপযোগী কম। খাজা কাঁঠালের বাল্ব থেকে বীজ ছাড়িয়ে পলিথিন ব্যাগে ডিপফ্রিজে রেখে দিলে কয়েকমাস ভাল থাকে। চিনির দ্রবনে কাঁঠালের কোষ সারা বছরই রাখা যায়। কাঁঠালের বীজও অনেক দিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। এজন্য মাটির পাত্রে বালুর মধ্যে বীজ রাখতে হবে। বীজের উপরের ছাল ছাড়িয়ে কাপড়ে ঘষা দিয়ে ঈষদোষ্ণ গরম পানিতে পাঁচ মিনিট ডুবিয়ে তা ডিপফ্রিজে কয়েক মাস সংরক্ষণ করা যায়।
লেখক: মো. জিল্লুর রহমান
এগ্রোবাংলা ডটকম
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ’ এ।